সোমবার, ২৩ Jun ২০২৫, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
একুশে ডেস্ক:
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণে বেঁধে দেওয়া ৯ শতাংশের সীমা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বিপরীতে ইন্টারেস্ট রেট করিডরের মাধ্যমে ঋণের নতুন সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো ইন্টারেস্ট রেট করিডর কীভাবে বাস্তবায়ন করছে বা তার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, চলমান মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন, নীতি সুদহারের করিডর প্রথা, সুদহারের সীমা প্রত্যাহার করে ইন্টারেস্ট রেট করিডর প্রথা ও ডলারের একক দাম বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন আইএমএফের চার সদস্যবিশিষ্ট টেকনিক্যাল টিমের প্রতিনিধিরা। আজ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের হিসাবায়ন, তারল্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আবারও মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। এ সভা ধারাবাহিকভাবে চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এটি আইএমএফের নিয়মিত সফরের অংশ। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি উন্নয়নে কাজ করতে চায়। এছাড়া নতুন করে আমরা ইন্টারেস্ট রেট করিডরে গিয়েছি। এটা বাস্তবায়নে কতটুকু অগ্রগতি হয়, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে সংস্থাটি। বৈঠকে তারল্য ব্যবস্থাপনার বিষয়েও আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন এই শীর্ষ কর্মকর্তা। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।
এর আগে ১৮ জুন নতুন অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে নীতি সুদহারের করিডর প্রথা, সুদহারের সীমা প্রত্যাহার, ডলারের একক দাম, রিজার্ভের প্রকৃত হিসাবায়নসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্তের মধ্যে ছিল। ফলে পুরো মুদ্রানীতিটি হয়েছে আইএমএফের ছক অনুযায়ী। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি রোধে মুদ্রা সরবরাহনির্ভর নীতি থেকে সরে এসে সুদহার লক্ষ্য করে মুদ্রানীতি প্রণয়ন শুরুর ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।